লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালের মালিক আনোয়ার হোসেন খানকে ১৩৩ কোটি টাকার অনৈতিক সুবিধা দিয়েছে বেসরকারি খাতের যমুনা ব্যাংক। তিন কিস্তির সমপরিমাণ অর্থ আদায় করে আনোয়ার খান মডার্নের ঋণ পুনঃ তফসিলের নির্দেশনা থাকলেও তা করা হয়নি। উল্টো ঋণের অর্থ আদায় না করেই সুদ আয় দেখানো হয়েছে। এত সব ঋণ অনিয়মের পরও আনোয়ার হোসেন খান সংসদ নির্বাচন করেছেন এবং আছেন ব্যাংকের পর্ষদেও।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন দল বিষয়টি জানতে পারলে ওই ঋণকে ক্ষতিজনক মানে খেলাপি করতে নির্দেশনা দেয়, কিন্তু সেটিও করা হয়নি। খেলাপিযোগ্য ঋণ থাকার পরও বেসরকারি খাতের শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক হিসেবেও বহাল তবিয়তে আছেন আনোয়ার হোসেন খান। ব্যাংক কম্পানি আইন অনুযায়ী কোনো ঋণখেলাপির ব্যাংক পরিচালক হওয়ার সুযোগ নেই।

ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাব-সিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান ফারইস্ট স্টকস অ্যান্ড বন্ড লিমিটেড (এফএসবিএল)। ৩১টি প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ বিতরণ দেখিয়ে ৪৭০ কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। মূল টাকা ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের হলেও এফএসবিএলের মাধ্যমে ওই টাকা ৩১টি প্রতিষ্ঠানের নামে ছাড় করানো হয়। ২০১০ সালের এপ্রিল থেকে ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত কয়েক ধাপে এ অর্থ উত্তোলন করা হয়।আর্থিক অনিয়মের সঙ্গে  ফারইস্ট স্টকস অ্যান্ড বন্ড লিমিটেডের উদ্যোক্তা ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এবং লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের সম্পৃক্ততার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। 

লক্ষ্মীপুরে বেআইনিভাবে একটি তিনতলা ভবনসহ ৪ কোটি টাকার সম্পত্তি দখল করার অভিযোগ উঠেছে ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে।বাড়ির মালিক মাইন উদ্দিন জানান, সাড়ে ৪ কোটি টাকায় বাড়িটি বিক্রি করা হয়। কিন্তু আনোয়ার হোসেন ও তার লোকজন ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়ায় ২৮ লাখ টাকা বায়না দিয়ে আনোয়ার হোসেন জোর করে বাড়িটি দখল করে নেন। 

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর আনোয়ার হোসেন খানকে জনসম্মুখে আর দেখা যায়নি।