দুর্জয় টানা দুবার এমপি হয়ে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। স্ত্রী ফারহানা রহমান হ্যাপীর নামেও গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। দুর্জয় ২০১৪ সালে এমপি হওয়ার পরপরই বাড়তে থাকে তার সম্পদ। রাতারাতি একটি পাওয়ার প্লান্টের পরিচালক বনে যান। দুর্জয় ২০১৮ সালের নির্বাচনের হলফনামায় নিজেকে চেজ ট্রেডিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেজ পাওয়ার লিমিটেডের পরিচালক হিসেবে উল্লেখ করেন।

মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। নিয়োগ বাণিজ্য, সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতি, ফসলি জমির মাটি কাটা, সন্ত্রাস আর দুর্নীতির মাধ্যমে দেশে-বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি।মানিকগঞ্জের শিবালয়ে আরিচা-কাজিরহাট-নগরবাড়ী নৌ রুটে ৪০টি স্পিডবোট রয়েছে। কিন্তু সংসদ সদস্যের প্রভাবে ওই ঘাটে স্পিডবোট চলছে মাত্র ৯টি।

এলাকায় মাদকের কারবার নিয়ন্ত্রণ করছেন সংসদ সদস্য দুর্জয়ের ঘনিষ্ঠরা। শিবালয় উপজেলায় যাঁদের বিরুদ্ধে ইয়াবা কারবারের অভিযোগ রয়েছে তাঁদের সঙ্গে সংসদ সদস্যের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে।ঘিওর উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে উত্তরপাড়ার শত শত বিঘা তিন ফসলি জমি কেটে পুকুরে পরিণত করেছে স্থানীয় সংসদ সদস্য নাইমুর রহমান দুর্জয়ের ভাই মাহবুবুর রহমান জনি ও তাঁর ক্যাডার বাহিনী।একইভাবে বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের পুখুরিয়া গ্রামের তিন ফসলি জমি কেটে নিয়ে যাচ্ছে সংসদ সদস্যের ক্যাডার বাহিনী।

চাকরির প্রলোভন দিয়ে এলাকার অভাবী মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ নানা খাতে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও সাবেক ক্রিকেটার নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের বিরুদ্ধে।

মদ-নারী, হুন্ডি, চাঁদাবাজিসহ সংঘবব্ধ অপরাধীচক্র গড়ে চরম বিতর্কিত সাবেক মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার সঙ্গে এমপি দুর্জয়ের সখ্যতা থাকার বিষয়টি সেই সময় ব্যাপক চাউর হয়। শুধু সখ্যই নয়, পাপিয়ার অপরাধ থেকে শুরু করে বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ডে যে ক’জন প্রভাবশালী ব্যক্তির সেল্টার ছিল তাদের মধ্যেও বস হিসেবে সাবেক ক্রিকেটার দুর্জয়ের নাম উঠে আসে।

রাজধানীর লালমাটিয়ায় মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের নামে থাকা ২ হাজার ৫২৩ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট, জমি ও তিনটি গাড়ি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ১২টি ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশও দেয়া হয়।সংসদ সদস্য থাকাকালে নাঈমুর রহমান দুর্জয় বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে মোট ১১ কোটি ২১ লাখ ৮১ হাজার ৭৯০ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে মানিকগঞ্জ পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড থেকে মোট ৪ কোটি ২২ লাখ টাকা গ্রহণ করেন।