হাসিনার পা চাটা সাগরেদ দবিরুলের পরিবারের গ্রাসে-দলীয় পদ, সরকারি সুযোগ-সুবিধাপ্রাপ্তি, নিয়োগ–বাণিজ্য, প্রকল্পের কাজ, চাঁদাবাজি—সবকিছুর নিয়ন্ত্রক এক পরিবার

 বালিয়াডাঙ্গীতে আওয়ামী লীগ নেই, আছে দবিরুল লীগ।সাংসদ দবিরুল ইসলাম ও তাঁর ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম ওরফে সুজনের বিরুদ্ধে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার রণবাগ এলাকার সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের জমি দখলে নিতে তাদের ভয়ভীতি দেখানো ও হামলার অভিযোগ ওঠে। এ বিষয়ে ২০১৬ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রতিবেদন পাঠায় একটি গোয়েন্দা সংস্থা। প্রতিবেদনে বলা হয়, সাংসদ দবিরুল ইসলাম বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের রণবাগ নামক স্থানে রণবাগ ইসলাম টি এস্টেট কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি চা-বাগান গড়ে তুলেছেন। ১০৬ একর আয়তনের ওই বাগানের মাঝখানে কয়েকজন সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের চা-বাগান ও আবাদি জমি রয়েছে। এসব জমি নিজেদের দখলে নিতে সাংসদ ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু পরিবারের লোকজনকে ভয়ভীতি দেখানো ও হামলার অভিযোগ উঠেছে।দবিরুল ও তার ছেলে শুধু দুর্নীতি নয় বরং সংখ্যালঘুসহ অন্যান্যদের সম্পত্তি দখল করে সীমাহীন দুর্নীতি করেছেন।

কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের নানা প্রকার যন্ত্রপাতি কিনতে উন্নয়ন সহায়তা (ভর্তুকি) দেয় সরকার। এ সহায়তাও হাতিয়ে নিয়েছেন সাংসদ দবিরুলের পরিবারের সদস্যরা। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বেউরঝারি মৌজায় প্রায় ৯০ একর জমি ক্রয় করে ভোগদখল করে আসছেন হাবিবুল ইসলাম বাবলু। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলাম, মাজহারুল ইসলাম সুজনসহ আসামিরা বাদীর কাছে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। এই মামলা ছাড়াও দবিরুল ইসলামকে গত ৫ আগস্ট ঠাকুরগাঁও রোড এলাকায় চার জন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দকে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় আসামি করা হয়।

ঠাকুরগাঁও-২ আসনে আওয়ামী লীগের সাত বারের এমপি দবিরুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।

Search