জেনারেল মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম (অবসরপ্রাপ্ত), স্বৈরাচার শেখ হাসিনা এবং মেজর জেনারেল তারিক সিদ্দিকীর একান্ত অনুগত ও বিশ্বস্ত । ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ এ পিলখানায় বিডিআর হত্যাকান্ড পরবর্তী মহাপরিচালক, প্রাক্তন সিজিএস। তৎকালীন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মইনুল ইসলামকে আকস্মিক মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি ও বিশেষ দায়িত্ব প্রদান করে 28 ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে বিডিআর এর মহাপরিচালকের দায়িত্ব দেয়া হয়। বিডিআর এ যোগদান করেই তিনি মেজর জেনারেল তারেক সিদ্দিকীর নির্দেশে পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের সকল প্রমাণ, তথ্যাদি, আলামত নষ্ট করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন । প্রথমে তিনি পিলখানার সকল সিসি ক্যামেরা তথ্য ও ভিডিও ফুটেজ ধ্বংস করেন । পরবর্তীতে বিভিন্ন তদন্ত আদালত এবং পিলখানায় স্থাপিত ইন্টারোগেশন সেলের কার্যক্রমকে যতদূর সম্ভব ব্যাহত করেন। পুরস্কার স্বরূপ তাকে অতি দ্রুত জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে সিজিএস হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এমনকি তাকে পরবর্তী সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদেই অবসর দেয়া হয়, তার এই ক্ষতিপূরণের জন্য তার আপন ছোট ভাই আতিকুল ইসলামকে পরপর দুইবার ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব দেয়া হয়। একজন কট্টর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সমর্থক এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোর বিরোধী।