ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে হাজার কোটি টাকার বেশি দুর্নীতি, অর্থ লোপাট ও বিদেশে পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তিনি সিটি করপোরেশনকে ব্যবহার করেছেন ব্যক্তিগত ব্যবসা ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের মাধ্যম হিসেবে। নিজের ও আত্মীয়দের মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন একটি দুর্নীতিপূর্ণ সিন্ডিকেট।
💰 অর্থ লোপাট ও ভুয়া ব্যয় দেখানো:
- মেট্রোরেল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৫০ লাখ টাকার প্রকৃত ব্যয়ের বিপরীতে ৫ কোটি টাকা লোপাট।
- কৃত্রিম বৃষ্টি, গাছ লাগানো, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, ওয়েবসাইট নির্মাণসহ বিভিন্ন ‘শোডাউন’ প্রকল্পে শত কোটি টাকা আত্মসাৎ।
- মেয়রের মেয়ে বুশরাকে “চিফ হিট অফিসার” করে কল্পিত প্রকল্পে কোটি কোটি টাকা ব্যয় দেখানো।
🌍 বিদেশে অর্থ পাচার ও সম্পদ গড়া:
- যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে বিপুল সম্পদের মালিক।
- বিদেশে নাম-বেনামে প্রজেক্ট, কোম্পানি স্থাপন; পরিচালনায় সরাসরি মেয়রের মেয়ে যুক্ত।
🧑🤝🧑 নিজস্ব সিন্ডিকেট ও রাজনৈতিক অপব্যবহার:
- মেয়রের আত্মীয়-স্বজন ও ঘনিষ্ঠদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন নিয়ন্ত্রণকারী সিন্ডিকেট।
- ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরি করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ।
- প্রকল্পে কাজের নামে লুটপাট করে ডিএনসিসিকে দুর্নীতির আখড়ায় রূপান্তর।
📂 নির্যাতন ও দমননীতি:
- ভুয়া প্রকল্পে স্বাক্ষর করতে না চাওয়ায় সৎ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হয়রানি, বদলি।
- মুখ বন্ধ রাখতে বা ‘চাকরি রক্ষা করতে’ বাধ্য করা হয় কর্মকর্তাদের।
⚖️ আইনি পদক্ষেপ ও পালিয়ে যাওয়া:
- শেখ হাসিনার পদত্যাগের আগেই আতিকুল ইসলাম দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।
- তার নামে শতাধিক মামলা রয়েছে, যার মধ্যে সাইবার অপরাধ ও দুর্নীতির মামলাও অন্তর্ভুক্ত।
- ভাসানটেক ও কলমিলতা প্রকল্পে দুর্নীতির জন্য ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে মামলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আতিকুল ইসলামের সময়কালে ডিএনসিসি পরিণত হয়েছিল দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও রাজনৈতিক দখলদারিত্বের অন্যতম উদাহরণে।
জনগণের করের টাকা ও সরকারি অনুদান ব্যবহারের পরিবর্তে অপব্যবহার করে শত শত কোটি টাকা লোপাট করে দেশের বাইরে পাচার করেন।