সাড়ে ১৫ বছরে ৪,৬৮৩ গুণ সম্পদ বৃদ্ধির অভিযোগ, বিদেশ পালানোর সময় আটক সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদের বিরুদ্ধে গত সাড়ে ১৫ বছরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকাকালে অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন, দুর্নীতি, জমি দখল, পরিবারের সদস্য ও ঘনিষ্ঠজনদের নামে সম্পদ গড়ার অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের অনুসন্ধানের জন্য সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেছেন।

তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় অবৈধভাবে জমি, ফ্ল্যাট, বাড়ি কেনা, বনভূমি দখল, জাহাজ নির্মাণ ডকইয়ার্ড দখল, সরকারি প্রকল্পে প্রভাব খাটানোসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। তাঁর ছোট ভাই এরশাদ মাহমুদ রাঙ্গুনিয়ায় প্রায় ২১২ একর বনভূমি দখল করেছেন বলে জানা যায়।

সরকার পতনের পর হাছান মাহমুদের নামে চট্টগ্রামে এক ডজনের বেশি মামলা হয়েছে। তিনি বিদেশে পালানোর চেষ্টা করেন এবং গুজব রয়েছে যে তিনি বেলজিয়ামে পালিয়ে গেছেন।

তাঁর সম্পদের পরিমাণ নির্বাচনী হলফনামায় অনেক কম দেখানো হলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, তাঁর বাস্তব সম্পদের পরিমাণ হাজার কোটি টাকার বেশি এবং তা দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে রয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত, কানাডা, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে বাড়ি, জমি ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। অভিযোগে বলা হয়, তাঁর সম্পদ গত সাড়ে ১৫ বছরে ৪,৬৮৩ গুণ বেড়েছে।

একাধিক জাতীয় দৈনিকে তাঁর দখল ও দুর্নীতির খবর প্রকাশিত হলেও এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কঠোর কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময়ে বিমানবন্দরে আটক হয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

Search