সজীব ওয়াজেদ জয়ের বন্ধু আরাফাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন,  সরকারি অর্থ আত্মসাৎ,দুর্নীতি এবং অর্থ পাচার ও ব্যাংক হিসাবে গড়মিল সহ নানা কুকর্মের ভাগীদার

আরাফাত, সরাফাত ও শওকত-দুর্নীতি আর অনৈতিক ফায়দা হাসিলে যেন একই বৃন্তে তিনটি ‘ফুল’। ক্ষমতার প্রভাববলয়ে প্রস্ফুটিত হওয়া এ ‘ফুল’ সুবাস নয়, ছড়িয়েছে দুর্গন্ধ। মোহাম্মদ আলী আরাফাত ছিলেন ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারে ‘উড়ে এসে জুড়ে বসা’ তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী।মোহাম্মদ এ আরাফাত ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য হন। তিনি ২০২৩ সালের জুলাইয়ে ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে ২৮ হাজার ৮১৬ ভোটে হিরো আলমকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার আগে চিত্রনায়ক ফারুক মারা গেলে এ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান আরাফাত।

ঢাকা-১৭ আসনের এক কাউন্সিলর বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর আরাফাত ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য হয়েছিলেন। তিনি এ আসনের কোনো নেতাকেই নেতা মনে করতেন না। কাউকে মূল্যায়ন করতেন না। তিনি সজীব ওয়াজেদ জয়ের বন্ধু বলে পরিচয় দিতেন। তার ভয়ে নেতাকর্মীরা তটস্থ থাকত। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বন্ধু পরিচয় দিয়ে মোহাম্মদ এ আরাফাত ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হাজার হাজার কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নিয়েছেন।

গত ১২ আগস্ট ,২০২৪ মোহাম্মদ আলী আরাফাত, তার স্ত্রী ও তাদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত করার আদেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংকর আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ। সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়।

নির্বিচারে মানুষ হত্যার সমর্থনকারী ও হত্যার নির্দেশদাতে হিসেবে আরও অসংখ্য মামলার আসামি সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরই আত্মগোপনে চলে যান সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত।

Search