সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত বিশ্বস্ত ছিলেন উপ প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস। বিসিএস (বেতার ক্যাডার) ২৭ ব্যাচের এই কর্মকর্তাকে হাসিনার পতনের পর উপ সচিব হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগে বদলি করা হয় বলে জানা যায়। আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকী ও ইমরুল কায়েস দু’জনেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ে থাকা কর্মকর্তারা সক্রিয় ছিলেন। তাদেরকে সরানো হলেও বিভিন্নভাবে তারা কলকাঠি নাড়ছেন বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে। গণভবন ও বঙ্গভবনকেন্দ্রিক বিগত সরকারের নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তারা নানাভাবে ইউনূস সরকারকে বিতর্কিত করতে কাজ করছেন। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ গোপনীয় তথ্য বিভিন্ন মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের মিডিয়া ও আওয়ামীপন্থী মিডিয়া সেলের কাছে পাচার করছেন।
এম এম ইমরুল কায়েস, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডেপুটি প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে একাধিক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের শিকার হয়েছেন।
1. ঘুষ ও অর্থ আত্মসাৎ
এম এম ইমরুল কায়েসের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি সরকারি দায়িত্বের সুবিধা নিয়ে বিভিন্ন প্রকল্পে ঘুষ গ্রহণ করেছেন। বিশেষ করে, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পে বরাদ্দকৃত অর্থ তিনি নিজের ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য আত্মসাৎ করেছেন।
2. নিয়োগ বাণিজ্য
তিনি স্বাস্থ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে অবৈধভাবে নিজের স্বার্থ হাসিল করেছেন। নার্সিং কলেজ ও ইনস্টিটিউটের অনুমোদন বাণিজ্যের সঙ্গে তার নাম জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
3. বাড়তি সুবিধা ও বৈধতার বাইরে যাওয়া
এছাড়া, তিনি সরকারি অফিসের বিভিন্ন সুবিধা ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করেছেন, যা সরকারি নীতি বিরোধী। তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে, তিনি তার ব্যক্তিগত স্বার্থে সরকারি সিদ্ধান্তগুলোকে প্রভাবিত করেছেন।
4. অভিযোগের তদন্ত
এম এম ইমরুল কায়েসের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের তদন্ত চলছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে তদন্ত করছে এবং যদি অভিযোগগুলো প্রমাণিত হয়, তবে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।