শেখ তাপসের আচরণ ছিল স্বৈরাচারী ও হিংসাত্মক, দক্ষিণ সিটিতে ছিল তার রাজার শাসন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নিজের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে টেন্ডারবাজি, ইজারা, নিয়োগ বাণিজ্য, দোকান বরাদ্দসহ আত্মীয়স্বজন ও তার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও তার স্ত্রী আরফিন তাপস। ডিএসসিসির সাবেক মেয়র তাপস বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৭৩ কোটি ১৯ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭ টাকা মূল্যের সম্পদের অসাধু উপায়ে অর্জন করেছেন।

 পুরো ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দুর্নীতির রাজত্ব করেন তাপস। গত চার বছরে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দুর্নীতির দায়ে চাকরিচ্যুত করেন তিনি। তাদের চাকরিচ্যুত করে নিজের আধিপত্য বিস্তার করেন। ডিএসসিসির মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে নিজেকে রীতিমতো রাজা ভাবতে থাকেন শেখ ফজলে নূর তাপস। এ ছাড়া শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প, সরকারের অগ্রাধিকারের বেশ কয়েকটি প্রকল্পে ‘দুর্নীতির’ অভিযোগ রয়েছে।

শেখ তাপসের আচরণ ছিল স্বৈরাচারী ও হিংসাত্মক। সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন যেসব উদ্যোগ নিয়েছিলেন, সেসব বন্ধ করে দেন তাপস। অনেক মার্কেটের উন্নয়ন কাজ অসমাপ্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়। এতে সিটি করপোরেশনের কয়েক হাজার কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। তাপসের হুকুম ছাড়া করপোরেশনের কোনো কাজই হতো না। দৈনিক মজুরিভিত্তিক শ্রমিক নিয়োগ থেকে শুরু করে টেন্ডার, দোকান বরাদ্দ, উন্নয়ন প্রকল্প, উচ্ছেদ অভিযান—যাই ঘটুক, সব কিছুতেই তার অনুমতি লাগত। শেখ পরিবারের সদস্য হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কথা বলার মতো সাহস দেখাতেন না কেউ। দক্ষিণ সিটিতে ছিল তাপসের রাজার শাসন।

Search