শরীফ মাহমুদ অপু, যিনি দীর্ঘদিন ধরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তার বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে ৫৮ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। এছাড়া, তিনি পুলিশের এসপি, ওসি ও এসআই বদলির জন্য ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে অভিযুক্ত। বিনিময়ে তিনি নিজে এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা গ্রহণ করেছেন। এই টাকার একটি অংশ তিনি মন্ত্রীর ছেলে বা স্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিয়েছেন।
অপুর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি অন্তত অর্ধশত ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের লাইসেন্স পাইয়ে দিয়েছেন। এছাড়া, তার বিরুদ্ধে অবৈধ আয়ের মাধ্যমে বাড়ি, গাড়ি, প্লট, ফ্ল্যাট এবং ব্যাংককের পাতায়ায় রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক হওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
বর্তমানে, শরীফ মাহমুদ অপু আত্মগোপনে রয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে চলমান তদন্তের অংশ হিসেবে দুদক তার অর্থ-সম্পদের হিসাব সংগ্রহ করেছে। তবে, তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি।
এই অভিযোগগুলোর প্রেক্ষিতে, শরীফ মাহমুদ অপু ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোরালো দাবি উঠেছে।