অনিয়ম, দুর্নীতি আর ক্ষমতার অপব্যবহার মিলিয়ে রেলের দুর্নীতির বরপুত্র সুজন হাসিনার কেনা ক্রীতদাস

২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এরপর টানা তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি রেলপথমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি।এমনকি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলারও একজন আইনজীবী ছিলেন তিনি।যাত্রাবাড়ী থানার এক মামলায় সাবেক রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ অনিয়ম-দুর্নীতির একাধিক মামলা রয়েছে। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর শ্যামলীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজনের মন্ত্রণালয়ে ছিলো একক আধিপত্য। তার কথাই যেন শেষ কথা। তারা আঙ্গুলের ইশারায় হতো সকল কাজ। প্রভাব এবং আধিপত্যের জোরে তটস্থ রাখতেন তার অধীনস্থ সবাইকে। ২০১৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। অনিয়ম, দুর্নীতি আর ক্ষমতার অপব্যবহার মিলিয়ে নূরুল ইসলাম সুজন নিজের শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে চলতেন সব সময়। নূরুল ইসলাম সুজন দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তার মাথায় ঘুরপাক খেতো পঞ্চগড়ে রেলের কাজ কার। তিনি যে অন্য এলাকায় রেলের কাজ করবেন সেটা যেন ভুলেই ছিলেন। রাজনৈতিক বিবেচনায় ও ঠিকাদারদের পরামর্শে প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। স্ত্রীর কথায় করেছেন নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি।

গত সরকারের দীর্ঘ মেয়াদে রেলে প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। বরাদ্দ থেকে লুটপাট হয়েছে।চলমান ২৯ প্রকল্প। রেলের সম্পত্তি দখল, টেন্ডার বাণিজ্য, নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্য হয়েছে। প্রায় প্রতিটি খাতেই দুর্নীতি হয়েছে শত শত কোটি টকা।শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশনায় অধিকাংশ প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বৃদ্ধি করেন তিনি।

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন দায়িত্ব নেওয়ার তিন বছরের মধ্যে ১১টি নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এর মধ্যে তার মেয়াদকালে একটিও শেষ হয়নি। এছাড়া সহজ ডটকম নামের টিকিট বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার একধরনের সখ্য গড়ে উঠেছিল। এছাড়া ডেমু ট্রেনের নামে গচ্চা গেছে সরকারের ৬৫০ কোটি টাকা। ট্রেনগুলো এখন জঙ্গলে পড়ে আছে। ডেমু ক্রয় থেকে চলাচল শুরু পর্যন্ত পুরো বিষয়টিই হয়েছে অনিয়ম-দুর্নীতির মধ্য দিয়ে।

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন দায়িত্ব নেওয়ার তিন বছরের মধ্যে ১১টি নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এর মধ্যে তার মেয়াদকালে একটিও শেষ হয়নি। এছাড়া সহজ ডটকম নামের টিকিট বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার একধরনের সখ্য গড়ে উঠেছিল। এছাড়া ডেমু ট্রেনের নামে গচ্চা গেছে সরকারের ৬৫০ কোটি টাকা। ট্রেনগুলো এখন জঙ্গলে পড়ে আছে। ডেমু ক্রয় থেকে চলাচল শুরু পর্যন্ত পুরো বিষয়টিই হয়েছে অনিয়ম-দুর্নীতির মধ্য দিয়ে।বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. মনিরুজ্জামান মনির বলেন, তৎকালীন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ সংশোধন না করেই সম্পূর্ণ অবৈধভাবে রেলওয়েতে প্রায় ৬ হাজার জনবল নিয়োগ করেন। এই নিয়োগের জন্য সুজনের স্ত্রী শাম্মি ও পিএস রাশেদ নিয়োগ প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ গ্রহণ করেন।

Search