মোল্লা ফজলে আকবর: সেনা কর্মকর্তাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা, নৃশংস গুম-খুন শাসন বাস্তবায়ন, এবং অর্থপাচারে জড়িত

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোল্লা ফজলে আকবর (অবসরপ্রাপ্ত), প্রাক্তন ডিজি ডিজিএফআই । স্বৈরাচার শেখ হাসিনার একান্ত অনুগত ও বিশ্বস্ত । আয়না ঘরের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি সর্বপ্রথম জোরপূর্বক গুম , বিচারবহির্ভূত হত্যা প্রথা শুরু করেন । ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রতি আনুগত্য না করা অনেক অফিসারের কেরিয়ার ধ্বংসে জড়িত তিনি । ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে ভারতের প্রেসক্রিপশনে ও অংশগ্রহণে সংঘটিত বিডিআর হত্যাকান্ড চলাকালীন সময়ে দায়িত্ব পালনকালে সেনাবাহিনীর কোন ইউনিট বা কোন অফিসার যেন নিজ উদ্যোগে পিলখানায় অভিযান চালাতে না পারে তার সর্বাত্মক ব্যবস্থা নেন। এমনকি পিলখানায় সম্ভাব্য যে কোন অভিযান প্রতিহত করার জন্য বিজিএফআই এর বিভিন্ন প্রভাবশালী অফিসারদের পিলখানার আশেপাশে নিয়োজিত করেন । পরবর্তীতে তিনি পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন প্রমানাদি ধ্বংসের ব্যবস্থা করেন । পুরস্কার স্বরূপ তাকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতি দেয়া হয়।  তিনি ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে জড়িত ছিলেন ওতপ্রোতভাবে । একজন কট্টর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সমর্থক এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোর বিরোধী।

অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোল্লা ফজলে আকবর ২০০৯ সালে ডিজিএফআই-এর মহাপরিচালক নিযুক্ত হন।বিডিআর সদর দপ্তরে সেনা কর্মকর্তাদের হত্যাকাণ্ড রক্ষা করতে ব্যর্থ হন। তারিক সিদ্দিকীর সরাসরি চামচা ছিলেন এবং খুনি হাসিনার অধীনে গুম খুন শাসন প্রতিষ্ঠা করতে শুরু করেন।

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে যে, এসব কর্মকর্তার পাসপোর্ট বাতিল করা হচ্ছে কারণ তারা শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের গুম করার ঘটনায় তদন্তাধীন রয়েছেন।

তাদের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষদের অপহরণের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং তাদের দেশ ত্যাগ করা প্রতিরোধ করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে একজন হলেন ফজলে আকবর, যিনি ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ডিজিএফআই-এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোল্লা ফজলে আকবরকে আলমের “সমর্থক” হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর, তিনি ও তাঁর স্ত্রী আলমের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি ব্যাংকে উপ-chairman হিসেবে নিয়োগ পান।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল আকবর বর্তমানে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) পদের দায়িত্বে আছেন।

Search