মাহফুজ আনামদের মত কথিত সুশীল ফ্যাসিবাদী দোসররাই খুনি স্বৈরাচারী হাসিনার দু:শাসনের সহযোগী

একটি দেশের স্বাধীনতা হরণের জন্য তিনটি শক্তি ধ্বংস করা প্রয়োজন: আধিপত্যবাদ বিরোধী রাজনৈতিক দল, প্রতিরক্ষা বাহিনী, এবং প্রতিবাদী গণমাধ্যম। এই শক্তিগুলিকে নিস্তেজ করতে কিছু প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি, যেমন মতি-মাহফুজ, সিপিডি, ও টিআইবি, আধিপত্যবাদী শক্তির সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে, বিশেষ করে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে দুর্বল করে।

২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর, ভারতের প্রাক্তন সেনাপ্রধান রায় চৌধুরী একটি কলামে দাবি করেন যে, পাকিস্তানের আইএসআই এই হামলার সঙ্গে জড়িত। তিনি বলেন, “Delhi can’t afford to let Dhaka slip off its radar”— অর্থাৎ, ভারত বাংলাদেশের উপর নজর রাখতে পারবে না। কিন্তু, প্রশ্ন ওঠে কেন একটি স্বাধীন দেশকে অন্য দেশ নিজের রাডারে রাখতে চাইবে? এই মতলববাজি নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি করেছিল বাংলাদেশের গণমাধ্যম।

দেশ ও জাতির সত্যিকারের ‘ওয়াচডগ’ মিডিয়াগুলোকে ধ্বংস বা নিস্তেজ করে দেওয়া হয়েছে যাতে জনগণ কিছু বুঝতে না পারে। মাহমুদুর রহমান, আবুল আসাদ, ও শফিক রেহমানদের ওপর রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন চলার সময় মতি-মাহফুজরা কিছুই বলেনি, সাংবাদিকতার স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়ায়নি। এটি স্পষ্ট করেছে যে তারা আসলে সাংবাদিকতার আড়ালে ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদের এজেন্ট।

শেখ হাসিনার “প্রথম আলো আওয়ামী লীগের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু, দেশের শত্রু” মন্তব্য অনেকের কাছে অবাক কৌতুক মনে হলেও, এটি আসলে সত্যের আড়ালে মিথ্যা প্রচারের উদাহরণ।এতে কোনো সন্দেহ নাই যে শেখ হাসিনা যা বলেন তার পুরোটাই মিথ্যা বলেন! তার এই একটি মাত্র কথা যেখানে তিন ভাগের দুই ভাগে (প্রথম আলো গণতন্ত্রের শত্রু, প্রথম আলো দেশের শত্রু) নির্ভেজাল সত্য রয়েছে!

জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পরাজিত ফ্যাসিবাদ বিভিন্ন রূপে সক্রিয় হয়ে উঠেছে, এবং কথিত সুশীলরা অপতৎপরতায় লিপ্ত। শেখ মুজিবুর রহমানকে ফ্যাসিবাদের আইকন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে তাঁকে দেবতা বানানোর চেষ্টা চলছে, যার মাধ্যমে ফ্যাসিবাদকে টিকিয়ে রাখার অপচেষ্টা চলছে। মাহফুজ আনাম ও তার মতো ভারতপন্থি গোষ্ঠী, যেমন ডেইলি স্টার, এই প্রচেষ্টায় সামনের কাতারে রয়েছেন।

Search