জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ অবসরপ্রাপ্ত প্রাক্তন সেনাপ্রধান। ব্যাপকভাবে পরিচিত দুর্নীতিবাজ ও নারীলোভী । তিনি সেনাবাহিনীর ক্রয় , নির্মাণসহ সকল ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৪০০০ কোটি দুর্নীতি করেন। ২০২৪ সালের ভুয়া জাতীয় নির্বাচনে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। একজন কট্টর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সমর্থক এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোর বিরোধী।
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল শেখ মোহাম্মদ শফিউদ্দিন আহমেদ:
১) দাড়ি বিদ্বেষ লঘুকরণ:
জেনারেল শফিউদ্দিন দাড়িওয়ালা অফিসারদের কমান্ড দেওয়ার অনুমতি দেন এবং পূর্বসূরিদের তুলনায় ভালো ছিলেন। তার এ পদক্ষেপে মধ্যম পর্যায়ের অফিসাররা কৃতজ্ঞ।
২) হিজাব বিদ্বেষ:
জেনারেল শফিউদ্দিন হিজাব পরা নারী রিক্রুটকে সেনাবাহিনীতে না নেয়ার নির্দেশ দেন। বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার নারী সদস্যদের হিজাব পরার অনুমতি দিয়েছেন। ২০১৫ সালে, জেনারেল ইকবাল করিম ভূঁইয়াও হিজাবের অনুমতি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
৩) টাখনু বিদ্বেষ:
জেনারেল শফিউদ্দিন টাখনুর উপরে প্যান্ট পরাকে ধর্মীয় গোড়ামী মনে করেন এবং বলেন, “টাখনুর উপরে প্যান্ট পরতে চাইলে সেনাবাহিনী ছেড়ে সিভিল হয়ে যাও।” তিনি ইসলামের ফরজ বিধানকে অস্বীকার করে ইসলামবিদ্বেষী হিসেবে নিজেকে পরিচিত করেন।
৪) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিষেধাজ্ঞা:
জেনারেল শফিউদ্দিন সেনা সদস্যদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নিষিদ্ধ করেন, আওয়ামী লীগ-বিরোধী মনোভাব রোধে। তার আদেশে সদস্যরা ভয়ে কিছু শেয়ার করতে পারতেন না, তবে জুনিয়র অফিসাররা সক্রিয় ছিলেন।
৫) নারীদের সাথে অসদাচরণের অভিযোগ:
জেনারেল শফিউদ্দিন নারীদের সাথে কেলেঙ্কারিতে জড়িত ছিলেন, যেমন ব্রিগেডিয়ারের স্ত্রীর সাথে রাত কাটানো ও নারী অফিসারদের সাথে সম্পর্ক। এ কারণে তাকে “নারীময়” বলা হয়।
৬) ইসলামবিদ্বেষ ও ভারতের তাবেদারি:
শফিউদ্দিন ইসলামবিদ্বেষী ও ভারতের তাবেদারি করতেন, তবে তিনি ইকবাল ও আজিজের চেয়ে কম খারাপ ছিলেন।
৭) গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্বহীনতা:
ডিজিএফআই ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার কাজ দেশের অভ্যন্তরীণ সমস্যা ও ভারতীয় অপতৎপরতা মোকাবিলা করা, তবে তারা এখন ভারতের জন্য কাজ করছে। সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে মোবাইল চেকিং এবং কর্মকর্তাদের সাম্প্রতিক পোস্টিং এর প্রমাণ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও ইসলামি চেতনা রক্ষায় ভারতীয় হেজিমোনি রুখতে সবাইকে সহযোগিতার আহ্বান জানানো হচ্ছে।