সাইফুল বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি থেকে ১৪তম বিএমএ লং কোর্সের ক্যাডেট হিসেবে সেনাবাহিনীতে কমিশন পান। তিনি বগুড়া সেনানিবাসের ১১ পদাতিক ডিভিশনের এরিয়া কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাইফুলকে ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ তারিখে ডিজিএফআই এর ডিজি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাইফুলকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) গত ৩ সেপ্টেম্বর ব্যাংকগুলোকে সাইফুল আলম, তার স্ত্রী ও সন্তানদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার নির্দেশ দিয়েছিল এবং পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউর কাছে লেনদেনের বিবরণ চেয়েছিল।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ সাইফুল আলম বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত । প্রাক্তন ডিজি , ডিজিএফআই । স্বৈরাচার শেখ হাসিনার একান্ত অনুগত ও বিশ্বস্ত। তিনি সজীব ওয়াজেব জয়কে ‘জয় মামা’ বলে ডাকেন । অত্যন্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং জেনারেল আজিজের পর সেনাপ্রধান পদে নিয়োগের জন্য আশাবাদী ছিলেন ।বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড , গুম , আয়না ঘর ইত্যাদির মতো সকল অপরাধের অন্যতম প্রধান ব্যক্তি। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের প্রতি অনুগত না থাকা অনেক কর্মকর্তার ক্যারিয়ার ধ্বংসে জড়িত । ৫ আগস্ট ২০২৪ এ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর কমা জরুরি অবস্থা বা সামরিক আইন ঘোষণা করার জন্য তিনি কুখ্যাত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, লেফটেন্যান্ট জেনারেল তাবরেজ শামস ,লেফটেন্যান্ট জেনারেল মজিবুর রহমান, জেনারেল মোঃ শাহিনুল হক , মেজর জেনারেল হামিদুল হক , ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরান হামিদের সাথে একাধিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেন । ৬ আগস্ট ২০২৪ তারিখে তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয় ।একজন কট্টর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সমর্থক এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোর বিরোধী । তিনি এখনো মেজর জেনারেল তারিখ সিদ্দিকীর সঙ্গে যোগাযোগ এবং স্বৈরাচারের স্বপক্ষে ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা করছেন ।