বিতর্কের ঘূর্ণিপাকে রাষ্ট্রপতির পিএস এম দিদারুল! মাদক, স্বর্ণ কেলেঙ্কারি ও ঘনিষ্ঠতার জোরে ক্ষমতার শিখরে

​এম দিদারুল আলম, যিনি বাংলাদেশ সরকারের যুগ্ম সচিব হিসেবে কর্মরত, রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।​

বিসিএস ইকোনমিক ক্যাডারের ২০তম ব্যাচের কর্মকর্তা দিদারুল আলম। ছিলেন পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি-বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজের একান্ত সচিব (পিএস)। মূলত তৎকালীন মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেনের ঘনিষ্ঠতার সূত্র ধরেই প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে ঢোকেন দিদারুল। সেখান থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব হন তিনি। ২০২৩ সালে রাষ্ট্রপতি হন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। ভাগ্য সুপ্রসন্ন দিদারুল নিয়োগ পান রাষ্ট্রপতির পিএস হিসেবে। সেই থেকে বঙ্গভবনে গেড়ে বসেছেন তিনি। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর রাজনীতসহ নানা ক্ষেত্রে ওলোটপালোট হলেও দিদারুল আছেন স্বমহিমায়।
জানা যায়, তারও আগে দিদারুল ছিলেন হাসিনা সরকারের সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব:) তাজুল ইসলামের পিএস। সেই সময় বহুল আলোচিত বিদেশী মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য রাষ্ট্রীয় উপহার ক্রেস্টে স্বর্ণ জালিয়াতির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ক্যাপ্টেন তাজ পরবর্তী সময়ে মন্ত্রিত্ব হারালেও দিদারুল আলমরা থেকে যান ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।

সম্প্রতি, এম দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে সহকারী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে এক সাংবাদিককে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে যে, তিনি আটককৃত এক আসামিকে শিখিয়ে স্থানীয় অনলাইন চ্যানেলে লাইভ সম্প্রচার করিয়েছেন, যা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঘটেছে ।

এছাড়া, তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদপুর ও জামালপুরে দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। জামালপুরে যৌনপল্লিতে অভিযান পরিচালনার সময় তিনি তত্ত্বাবধায়কের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং মাদক মামলার পলাতক আসামিকে টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন ।​

Search