বাংলাদেশ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বানসুরি এম ইউসুফের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের গুরুতর অভিযোগ!

​বাংলাদেশ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বানসুরি এম ইউসুফের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০২১ সালে রাজধানীর আজিমপুর মাতৃসদন ও শিশুস্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগে ৭ জন চিকিৎসকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করে। এ মামলায় বানসুরি এম ইউসুফের নাম উল্লেখ করা হয়নি, তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মেডিসিন অ্যান্ড ইকুইপমেন্ট টেন্ডারের মাধ্যমে ক্রয়ের ক্ষেত্রে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ লঙ্ঘন করে এমআরপি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নির্ধারিত মূল্য তালিকা মোতাবেক মেডিসিন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত মেডিকেল এন্ড সার্কিট এর মূল্য তালিকা মোতাবেক সার্জিক্যাল আইটেম ক্রয় করার ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া বর্তমান বাজারদর আমলে না নিয়ে গঠিত বাজার কমিটির প্রথম মনগড়া ও ভিত্তিহীন দরকে বিবেচনায় নিয়ে এমআরপি ওয়েবসাইটের উত্তরপত্র মূল্যায়নের মাধ্যমে মালামাল ক্রয় করা হয়েছে।​

এছাড়া, বশেমুরবিপ্রবির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে টেন্ডার বাণিজ্য, ভর্তিতে অনিয়ম, চাকরির বয়সসীমা অতিবাহিত হওয়ার পর নিয়োগ, নিম্নমানের পেপারে সার্টিফিকেট প্রদান, আসবাবপত্র ক্রয়ে অনিয়ম, কোটি টাকা ব্যয়ে দুইটি পানি শোধনাগার নির্মাণে অনিয়ম, বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ না করে টাকা উত্তোলনসহ নানা অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।

দুদক এসব অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

Search