ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুপাতো ভাই শেখ সেলিম ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।এরপর টানা চারটি সংসদে ছিলেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। শেখ মুজিবের ভাগনে হওয়ার সুবাদে মন্ত্রিত্ব না থাকলেও স্বাস্থ্য, স্থানীয় সরকার, সড়ক পরিবহণসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঠিকাদারি কাজের বড় অংশ ছিল তার নিয়ন্ত্রণে। বিশেষ করে বৃহত্তর ফরিদপুর, খুলনা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের সব উন্নয়নকাজ ভাগবাটোয়ারা করতেন তিনি। বিনিময়ে মিলত ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কমিশন। গত বছরের ২০ আগস্ট জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও তার পরিবারের মোট ৯১টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টের তথ্য তলব করে।
গত ১৫ বছর বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ঠিকাদারদের কাছ থেকে কমিশন নেওয়ার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সেলিমের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে হাজার হাজার কোটি টাকার কমিশন সিন্ডিকেট চালাতেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মন্ত্রী না থাকা সত্ত্বেও গত ১৫ বছর উন্নয়ন প্রকল্প থেকে কমিশন পেতে তিনি ‘শেখ পরিবারের প্রভাব’কে কাজে লাগিয়েছেন। শেখ সেলিম ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন এবং কমিশনের বিনিময়ে পছন্দের ঠিকাদারদের ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজের আদেশ দিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন।
ঢাকাই সিনেমার বহুল বিতর্কিত নায়িকা নিপুণ আক্তার।শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ছত্রছায়ায় নিপুণ হয়ে উঠেন অপ্রতিরোধ্য। বাবার বন্ধু পরিচয় দিলেও শেখ সেলিমের সঙ্গে রয়েছে অনৈতিক সম্পর্ক। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে করেছেন গাড়ি, বাড়িসহ অনেক সম্পদ। শেখ সেলিমের টাকা দিয়েই মেয়ে তানিশাকে বিদেশে পড়াশোনা করাচ্ছেন নিপুণ।
অর্থ আত্মসাত ও ক্যাসিনো ব্যবসার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শেখ ফজলুল করিম সেলিমের ছোট ভাই শেখ ফজলুর রহমান মারুফকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
ডিআর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে শেখ সেলিম জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর শেখ সেলিম আত্মগোপনে আছেন বলে জানা গেছে।