প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ফ্যাসিবাদ সচিব ফরিদ আহাম্মদ স্বৈরাচার সরকারের দালাল, দোসর এবং সহযোগী

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহম্মদ এর বিরুদ্ধে উত্থাপিত অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাট সংক্রান্ত অভিযোগগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ তুলে ধরা হলো:

🔹 বিদেশ সফর সংক্রান্ত অনিয়ম:
অবসরে যাওয়ার মাত্র ১০ দিন আগে সরকারি অনুমোদন ছাড়া ইন্দোনেশিয়া সফর করেছেন ফরিদ আহম্মদ। এর আগেও ১২ বার বিদেশ সফর করেছেন, যার ব্যয় বহন করা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের বরাদ্দ থেকে। ইন্দোনেশিয়া সফরের ক্ষেত্রে ৩০-৯০ হাজার টাকার টিকিটের মূল্য দেখিয়ে ৫ লাখ টাকা দেখিয়ে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে।

🔹 সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা:
সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ১৩ দফা বিদেশ ভ্রমণ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও তিনি তা উপেক্ষা করে ভ্রমণ করেছেন। সরকারি অর্থে কম প্রয়োজনীয় বিদেশ সফর নিষেধ থাকা সত্ত্বেও তার সফর প্রশ্নবিদ্ধ।

🔹 ক্ষমতার অপব্যবহার:
জাল রায়ের তথ্য প্রকাশ করায় পিটিআই ইন্সট্রাক্টর মোহাম্মদ জাকির হোসেনকে হয়রানি ও তিরস্কার করেছেন। অথচ প্রকৃত জালিয়াতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

🔹 অস্বচ্ছ ব্যয় ও বাজেট ব্যবস্থাপনা:
পিইডিপি-৪ প্রকল্পে বিশাল বাজেট (মোট প্রায় ৩৮ হাজার কোটি টাকা) থাকা সত্ত্বেও বাস্তবায়নে অগ্রগতি নেই, বরং বিদেশ সফরসহ বিভিন্ন ব্যয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

🔹 প্রশ্নবিদ্ধ নীতি ও সিদ্ধান্ত:
বিদেশ সফরের সময় তার রুটিন দায়িত্ব অন্য একজনকে দিলেও অর্থনৈতিক দায়িত্ব নিজের কাছেই রেখে যান। একইসাথে বিমানবন্দরের ভিআইপি সুবিধা ব্যবহার ও সংবিধিবিরুদ্ধভাবে আদেশ জারি করা হয়।

🔹 হাইকোর্টের রায় জালিয়াতি ইস্যু:
একই রীট মামলার দুটি ভিন্ন রায়ের ফটোকপি পাওয়া যায়, যা সচিবের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন দ্বারা জালিয়াতির প্রমাণ বহন করে।

এই অভিযোগগুলোর পেছনে যদি যথাযথ তদন্ত হয়, তবে প্রাথমিক শিক্ষা খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং বাজেট ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব হতে পারে।

Search