পিলখানায় সংঘটিত ইতিহাসের নির্মম হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিল ভারতীয় দালাল রেজানুর

বিএ ২১৮২ মেজর জেনারেল রেজানুর রহমান খান অবসরপ্রাপ্ত কমা পঞ্চম লং কোর্স । প্রাক্তন উপ মহাপরিচালক, র‍্যাব। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার একান্ত অনুগত ও বিশ্বস্ত । বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড , গুণ, আয়না ঘর ইত্যাদির মত সকল অপরাধের অন্যতম প্রধান ব্যক্তি। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের প্রতি আনুগত্যহীন অনেক কর্মকর্তার কর্মজীবন ধ্বংসের জড়িত ছিলেন । র‍্যাবের মহা পরিচালক থাকা কালে ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে ভারতের প্রত্যক্ষ প্রেসক্রিপশনে ও অংশগ্রহণে সংঘটিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডে “প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ” হাতে পিলখানায় সর্বপ্রথম সকাল দশটায় উপস্থিত র‍্যাব-২ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জামান কে পিলখানায় বন্দি অফিসার ও তাদের পরিবারদের উদ্ধারে সামরিক অভিযান পরিচালনা করতে বিরত রাখেন ।অথচ সেটাই ছিল অভিযান পরিচালনার মোক্ষম সময় যখন হত্যাকারীরা তখনও সংগঠিত হতে পারেনি । এর ফলশ্রুতিতে ১৯৭১ পরবর্তী পূর্ব পাকিস্তান এবং ১৯৭১ পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের নির্মম হত্যাকাণ্ড পিলখানায় সংঘটিত হয় যেখানে ৫৭ জন সেনা অফিসার সহ ৭৪ জন নিরস্ত্র অবস্থায় নির্মমভাবে নিহত হন । পুরস্কার স্বরূপ তাকে অতি দ্রুত পরপর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ও মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি দেশের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে টাকা ঘুষ নিয়েছেন ।একজন কট্টর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সমর্থক এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোর বিরোধী।

Search