হেলাল উদ্দিন আহমদ, যিনি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক সচিব, সম্প্রতি বিভিন্ন অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ ২০১৪ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনেও ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই নির্বাচনগুলোতে ভোটের দিন রাতে ভোটগ্রহণ, ব্যালট জালিয়াতি, প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পক্ষপাতিত্বপূর্ণ আচরণ, এবং আর্থিক লেনদেনের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এসব অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে।
২০১৮ সালের নির্বাচনের পর, বিশেষ করে বরিশাল-১ আসনে ভোটের ফলাফল নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ৯৩ থেকে ৯৯ শতাংশ ভোট পেয়েছেন, যা নির্বাচনী ইতিহাসে নজিরবিহীন। এই নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগও উঠেছে। এছাড়া, নির্বাচনী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে ভোটের ফলাফল পাল্টানোর অভিযোগও রয়েছে।
হেলাল উদ্দিন আহমদকে ২০২৫ সালের ২৩ অক্টোবর চট্টগ্রামের খুলশী এলাকা থেকে আটক করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া, তার বিরুদ্ধে দুদকে ভুয়া বিলের মাধ্যমে সরকারি অর্থ লোপাটের অভিযোগও রয়েছে।