মোহাম্মদ নাজমুল হুদা বর্তমানে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০২৩ সালের ৬ ডিসেম্বর, তিনি নিউইয়র্কে প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন। এ সভায় তিনি কনস্যুলেটের সেবার মান উন্নয়ন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বার্থ রক্ষা এবং বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড প্রচারে মিডিয়ার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “স্বাগতিক দেশে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা, অর্থনৈতিক কূটনীতি, জনবান্ধব কূটনীতিকে কনসাল জেনারেল তাঁর নিউইয়র্ক মিশনের মূল লক্ষ্য হিসেবে অভিহিত করেন।”
এছাড়া, ২০২৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর, সিদ্দিকী নাজমুল আলম নামে এক ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে বাংলাদেশে সীমা লঙ্ঘনের অভিযোগে দেশে ফিরে যেতে বলেন। তিনি বলেন, “আমরা আপনার কর্মকাণ্ডে খুবই উদ্বিগ্ন, আপনি বাংলাদেশে ইতোমধ্যে আপনার সীমা লঙ্ঘন করেছেন। মনে রাখবেন, এটি ১৯৭৫ সাল নয়, এটি ২০২৩।”
এছাড়া, ২০২৪ সালের ৪ নভেম্বর, সরকার ২১টি মিশনে নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রও রয়েছে। নতুন নিয়োগের তালিকায় নাজমুল হুদার নাম অন্তর্ভুক্ত ছিল না, যা তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের ইঙ্গিত হতে পারে।
২০২৪ সালের ২৪ মার্চ নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সোসাইটির একটি ইফতার মাহফিলে সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ রব মিয়া কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে কনস্যুলার সেবায় দায়িত্বহীনতার অভিযোগ আনেন। তিনি বলেন, প্রবাসীদের সুবিধার্থে আগে ছুটির দিনে কুইন্স, ব্রুকলিন ও ব্রংক্সে মোবাইল কনস্যুলার ক্যাম্প হতো, যা নাজমুল হুদা দায়িত্বে আসার পর বন্ধ হয়ে গেছে।
সোসাইটি একাধিকবার এই সেবা পুনরায় চালুর জন্য তার সাথে যোগাযোগ করলেও কোনো সহায়তা পাননি বলে অভিযোগ ওঠে। বক্তব্য চলাকালীন উপস্থিত অনেকেই “শেম শেম” ধ্বনি তোলেন।