প্রায় ১৫ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ১৬৬ কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগে সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী ফৌজিয়া ইসলামের নামে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সাবেক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, যিনি কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) আসনের টানা চারবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জানায়, তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৮০ লাখ ২০ হাজার ৯৩৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া, তার নিজ নামে থাকা ৩৫টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ১৩৯ কোটি ৭৪ লাখ ৯৮ হাজার ১১৭ টাকার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। এমনকি, তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৬ কোটি ৯০ লাখ ২ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ১১টি ব্যাংক হিসাবে ২৭ কোটি ১১ লাখ ৯৫ হাজার ১৭৮ টাকার লেনদেনের অভিযোগও রয়েছে।
মানবাধিকার লঙ্ঘন ও গুমের অভিযোগ
২০১৩ সালে লাকসাম উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম ও লাকসাম পৌরসভা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. হুমায়ুন কবিরকে অপহরণ করে গুম করার অভিযোগে তাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রায় ১১ বছর ধরে এই দুই নেতার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।