জেনারেল আজিজ আহমেদ কুখ্যাত প্রাক্তন সেনাপ্রধান । একজন ব্যাপকভাবে পরিচিত অপরাধী । মোহাম্মদপুরের বহুল পরিচিত সন্ত্রাসী পরিবার থেকে আগত এই অফিসার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইতিহাসের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সেনাপ্রধান । ২০১৮ সালের ভুয়া জাতীয় নির্বাচন আয়োজনে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন ।ডিজি বিজিবি ও সেনাপ্রধান হিসেবে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছেন । ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে পিলখানায় বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্থলে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শী জিএফআই কর্মকর্তার বিবরণ অনুযায়ী, ঘটনার দিন সকাল আনুমানিক ১১ ঘটিকায় তৎকালীন লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজিজ এবং তৎকালীন লেফটেন্যান্ট কর্নেল চৌধুরী হাসান সারওয়ারদি ( পরবর্তীতে লেফটেন্যান্ট জেনারেল) – রংপুরের তৎকালীন সংসদ সদস্য মাহবুব আরা গিনি নেতৃত্বে সাদা পতাকা হাতে পিলখানায় প্রবেশ করেন যার কারণ অদ্যাবধি অজ্ঞাত। এমনকি এই ঘটনাটি সকল তদন্ত দলের দৃষ্টি এড়িয়ে যায় বা এড়িয়ে যেতে বাধ্য করা হয় । এমনকি পরবর্তীতে কোন তদন্ত সংস্থা কর্তৃক তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় নাই । ৩১ জুলাই ২০২০ সালে কক্সবাজারের মেজর সিনহা পুলিশের হাতে পরিকল্পিত ও নির্মমভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার পর সেনাপ্রধান হিসেবে এই হত্যাকাণ্ডকে একটি “বিচ্ছিন্ন ঘটনা” বলে আখ্যা দেন । এই হত্যাকাণ্ডের পর প্রতিবাদে ফুসে উঠে অবসরপ্রাপ্ত অফিসারদের সংগঠন – রাওয়া । সেসময় অবসরপ্রাপ্ত অফিসারদের দমনে জেনারেল আজিজ, ডি জি এফ আইয়ের মাধ্যমে সংবিধান অবৈধভাবে বাতিল করে নির্বাচিত নিরবাহি পরিষদকে ভেঙে দিয়ে নিজ হাতে রাওার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
আমরা ধীরে ধীরে সকল ভারতপন্থী, আওয়ামীপন্থী এবং ইসলামবিদ্বেষী জেনারেল ও সিনিয়র অফিসারদের মুখোশ উন্মোচন করব, ইনশাআল্লাহ। আজকের প্রথম পর্বে আমরা এক প্রাক্তন সেনাপ্রধানের আজিজ আহমেদের ইসলামবিদ্বেষ ও ভারতপ্রেমের কাহিনি তুলে ধরবো।
(১) ‘র’ এজেন্ট ও প্রো-ইন্ডিয়ান সেন্টিমেন্ট তৈরি,
(২) ইসলাম বিদ্বেষ,
(৩) ব্রিটিশ ড্রেসকোড,
(৪) দ্বৈত নাগরিকত্ব ইস্যু,
(৫) ধার্মিক ও দেশপ্রেমিক অফিসারদের চাকরিচ্যুতি,
(৬) ধর্ম পালনের অধিকার: আমেরিকা বনাম বাংলাদেশ,
(৭) ধর্মহীন অফিসার শ্রেণী তৈরি,
(৮) মানসিক দাসত্ব ও চিন্তাপরাধ,
(৯) এন্টি-আওয়ামীজমকে ট্যাবু করা,
(১০) নিম্নমানের যুদ্ধ সামগ্রিক ক্রয়।
যদি সেনাপ্রধান ওয়াকারের জায়গায় ইসলামবিদ্বেষী ও ফ্যাসিস্ট জেনারেল আজিজ বা মুজিব থাকতেন, ৫ আগস্ট বাংলাদেশে ভয়াবহ অরাজকতা হতো। পরকাল ও আল্লাহর ভয়ের অভাবে এমন খুনি জেনারেলরা গুম-খুন করেছে।