নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু সম্পর্কে কিছু অভিযোগ ও বিতর্ক রয়েছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে, আওয়ামী লীগের চার নেতাকে গুমের অভিযোগে রাজু, তার ছেলে রাজিব আহমেদ পার্থ এবং নরসিংদী জেলা পুলিশের ৪৮ সদস্যসহ মোট ৬৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৭ সালে রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ নেতাদের গুম করা হয়, এবং এই ঘটনায় রাজু ও তার পরিবারের সদস্যদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, যিনি নরসিংদী-৫ (রায়পুরা) আসনের সংসদ সদস্য এবং সাবেক শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী, তার বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। ২০২৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন থেকে চারজন আওয়ামী লীগ নেতাকে গুম করার অভিযোগে রাজু, তার ছেলে রাজিব আহমেদ পার্থ, সাবেক পুলিশ সুপার আমেনা বেগমসহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। বাদী হাবিবুর রহমানের বড় ভাই সফিউল্লাহ এই মামলা করেন, যা নরসিংদী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেয় ।
এছাড়া, রাজু আহমেদ তার রাজনৈতিক প্রভাবের মাধ্যমে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত ছিলেন। তিনি নারায়ণগঞ্জে চাঁদাবাজি, শিল্পকারখানায় অবৈধ নিয়ন্ত্রণ, এবং মিডিয়া হাউজগুলোর মধ্যে প্রভাব খাটিয়ে সাংবাদিকদের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করেন। এছাড়া, তার ব্যাংক হিসাবও জব্দ করা হয়েছে, যা তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে ।এছাড়া, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) নরসিংদী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আশরাফ খান (দিলিপ) এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করেছে ।
শেখ হাসিনার সম্মতিতে অসামান্য অবদানের নামে রাজউকের প্লট পাওয়া মন্ত্রীর মধ্যে রাজিউদ্দিন আহমেদ (রাজু)ও রয়েছেন।