ক্লিন ইমেজের অন্তরালে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল হয়ে উঠেছিলেন দুর্নীতির বরপুত্র

ক্লিন ইমেজের অন্তরালে তিনি হয়ে উঠেছিলেন দুর্নীতির বরপুত্র। বস্তুত পিতার ক্লিন ইমেজকে কাজে লাগিয়ে সাবেক স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল গড়ে তুলেছিলেন দুর্নীতির এক বিশাল পারিবারিক সিন্ডিকেট। জনসমক্ষে নিজেকে সততার প্রতিভূ হিসেবে তুলে ধরলেও দুর্নীতির মাধ্যমেই গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। জমিয়েছেন কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ সম্পদ। কানাডায় বানিয়েছেন বাড়ি এবং মার্কেট। আমেরিকায় বানিয়েছেন খামারবাড়ী। আর দেশের নানা স্থানে নামে-বেনামে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে তার গড়ে তোলা নানা স্থাপনা। 

রাসেলের সঙ্গে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদেরও ছিল সখ্য। ২০১৮ সালে গাজীপুর মহানগরীর শীর্ষ ১০ মাদক ব্যবসায়ী তালিকা তৈরি করে সরকারের একটি সংস্থা। ওই তালিকায় শীর্ষ ১০ জনের সবাই ছিলেন টঙ্গীর। তাদের মধ্যে ছাত্রলীগ নেতা সরকার মশিউর রহমান বাবু, হুমায়ুন কবীর বাপ্পীসহ ৭ জনই ছিলেন ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও কৃষক লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। যাদের সবাই ছিলেন রাসেলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। শুধু রেজাউল বা শীর্ষ ১০ নন, মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে রাসেলের সুসম্পর্কের বিষয়টিও ছিল ওপেন সিক্রেট।

অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে তার স্ত্রীর নামে থাকা সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। শাহে আলমের স্ত্রী আতিয়া আলম মিলির বিরুদ্ধে ৫৫ লাখ ৭৫ হাজার ৯৯৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তার সম্পদ বিবরণী দাখিলে নোটিশ জারি করেছে দুদক।

Search