আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মেয়র আব্দুল মালেক কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌরসভায় দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ক্ষমতায় থেকে ব্যাপক দুর্নীতি, লুটপাট ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার ছত্রছায়ায় তিনি সাধারণ কুলি থেকে হয়ে ওঠেন বড় নেতা। ২০১৬ সালের ভোটারবিহীন নির্বাচনে মেয়র নির্বাচিত হয়ে পৌরসভাকে নিজের ব্যক্তিগত ব্যবসায় পরিণত করেন।
🔧 ভুয়া প্রকল্প ও অর্থ আত্মসাৎ:
- প্রকল্প না করেও কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন, যেমন:
- সড়ক ও ড্রেন নির্মাণ: নামমাত্র কাজ দেখিয়ে শত কোটি টাকা লুট।
- স্ট্রিট ও সোলার লাইট: স্থাপন না করেই কোটি টাকার বিল তুলে নেওয়া।
- টয়লেট, যাত্রী ছাউনি: নামেমাত্র কাজ করে বাকি টাকা আত্মসাৎ।
- রাজস্ব আয়ের পুরো টাকাই ব্যয় দেখিয়ে আত্মসাৎ।
👥 স্বজনপ্রীতি ও ভুয়া নিয়োগ:
- আত্মীয়স্বজনদের দিয়ে সকল ঠিকাদারি কাজ করানো হয়েছে।
- জিপ চালকের নিয়োগ দেওয়া হলেও পৌরসভায় কোনো জিপ নেই।
- রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠদের দিয়ে বিভিন্ন দায়িত্বে নিয়োগ দিয়ে বেতন উত্তোলন করা হয়।
💬 স্থানীয়দের অভিযোগ:
- অনেকে সরাসরি অভিযোগ করেছেন যে কাজ না করেও কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
- সাবেক কাউন্সিলর, ঠিকাদার ও সাধারণ মানুষ এই দুর্নীতির তথ্য দিয়েছেন, কিন্তু আগে ক্ষমতার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারেননি।
📉 প্রভাব:
- জনগণের রাজস্ব লুটে পৌরবাসীর উন্নয়ন ব্যাহত হয়েছে।
- অকার্যকর ড্রেনেজ, সড়ক ভাঙন, পানিবন্দি বাজারসহ নাগরিক দুর্ভোগ বাড়ে।
আব্দুল মালেকের নেতৃত্বে নাঙ্গলকোট পৌরসভা যেন দুর্নীতির অভয়ারণ্যে পরিণত হয়। কোটি কোটি টাকার ভুয়া প্রকল্প ও লুটপাটের ঘটনায় এখন স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এসব বিষয়ে এখনো কার্যকর তদন্ত ও বিচার কার্যক্রম শুরু হয়নি।