আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে ১২ বছরই সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী হিসেবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) দায়িত্বে ছিলেন ওবায়দুল কাদের।
আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে সড়ক ও সেতু নির্মাণ থেকে শুরু করে রক্ষণাবেক্ষণসহ সব ধরনের কাজে কমিশন বাণিজ্যের বিশাল সিন্ডিকেট তৈরি করে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের অভিযোগ।স্ত্রী ইশরাতুন্নেছা কাদের, ভাই আবদুল কাদের মির্জা, ফেনীর সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, নোয়াখালীর সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরী ও সাবেক সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহকে নিয়ে ওবায়দুল কাদের গড়ে তুলেছিলেন দুর্নীতির বিশাল সিন্ডিকেট। তার মন্ত্রীত্বকে অবৈধ ক্ষমতা চর্চার হাতিয়ার করে ২০১১ সাল থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত সড়ক পরিবহন খাতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করে হাজার কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়েছে কাদের পরিবার ও সিন্ডিকেটের বাকি সদস্যরা।১৬ বছরে ওবায়দুল কাদেরের নিজের নির্বাচনী হলফনামায় দেয়া তথ্যে সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ পাওয়া গেছে ছয়গুণের বেশি। ওই সময়ে তার অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ১৩ গুণের বেশি।
সরকারি চাকরিতে অন্যায্য কোটা ব্যবস্থার প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে নামা শিক্ষার্থীদের দমনে গত ১৫ জুলাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করে।আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দলটির ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলা ও ‘দেখামাত্র গুলি চালানোর’ নির্দেশ দেন। হিসাব অনুযায়ী, সহিংসতায় অন্তত ২০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হন কয়েক হাজার। তবে হতাহত ব্যক্তিদের প্রকৃত সংখ্যা সম্ভবত আরো বেশি। এছাড়া পুলিশ ছাত্র আন্দোলনের নেতাসহ ১০ হাজারের বেশি মানুষকে আটক ও গ্রেফতার করে। নানা অভিযোগে আসামি করে আটক করা হয় দুই লাখ মানুষকে, যাকে ‘উইচ হান্ট’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।