গত ১০ বছরে ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনের আয় বেড়েছে সাড়ে আট হাজার গুণ। ২০১৪ সালে তার ছিল ৩৫৯ টাকা। ২০২৩ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি ১০ লাখ ১ হাজার ৪৯৭ টাকা। এই হিসেবে বেড়েছে ৮ হাজার ৬৩৯ গুণ। গত তিনবারের নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী এই তথ্য মিলেছে।২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত রমেশ চন্দ্র সেন বাংলাদেশ সরকারের জলসম্পদমন্ত্রী ছিলেন। ১৯৯৭ সালের উপনির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে জয়ী হয়েছিলেন তিনি।
ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর সাংসদ রমেশ সেন কারাগারে গেলেও তার দ্বিতীয় স্ত্রী মুক্তা রাণী পরিবারের সকল সদস্য সহ পালিয়ে যান এবং এখনও পলাতকই আছেন।আয়া থেকে শত কোটি টাকার মালিক মন্ত্রীর ‘দ্বিতীয় বউ’খ্যাত মুক্তা রানী। মুক্তা রাণী পলাতক থাকলেও তার ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পথ্য সরবরাহের কাজের কোন বিগ্ন ঘটছে না। বিগত পতিত সরকারের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন তার কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী মুক্তা রাণীকে ভাড়াটিয়া ঠিকাদার লিমন কন্সট্রাকশন,বগুড়ার নামে ২০২১-২২ অর্থ বছরে খাদ্য সরবরাহের কাজটি নিয়ে দিয়েছিলেন। কার্যাদেশ প্রদান করা হয়,১২জুন’২০২২ তারিখে । সেই টেন্ডার অদ্যাবধী চলমান আছে।
ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেনের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, হাসপাতালে সিন্ডিকেট এবং টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। নিজ জেলায় একক আধিপত্য গড়ে তোলাসহ ক্ষমতার ব্যাপক অপব্যবহার করেছেন তিনি। বিভিন্ন অপরাধ ও দুর্নীতি করে স্ত্রীসহ স্বজনদের নামে-বেনামে তিনি সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। ক্ষমতায় থাকার সময় তাঁর দুর্নীতি ও অপকর্মের তথ্য প্রকাশ করতে চাইলে সাংবাদিকদের দমিয়ে রাখতে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে হুমকি দেওয়া হতো।