তৎকালীন স্বৈরাচারি ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়’ (বর্তমান প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়) এ পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকী। এ কর্মকর্তা পদোন্নতি বাগিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ‘মহাপরিচালক’ পদ বাগিয়ে নেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নেয়ার পর সারাদেশে ডিসি নিয়োগ ও মাঠ প্রশাসনে পদোন্নতি নিয়ে বিতর্ক ওঠে।এই বিতর্কের মূলে ছিলেন প্রভাবশালী এই কর্মকর্তা। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে প্রশাসনের সর্বত্র কলকাঠি নাড়েন আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকী। শেখ হাসিনার মাফিয়াতন্ত্রের সহযোগী অনেক আওয়ামী কর্মকর্তাকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রশাসনে পুনর্বাসনের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। চরম বিতর্কের মুখে গত ২২ অক্টোবর তাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) বদলি করা হয়।শেখ হাসিনার কার্যালয়ের কর্মকর্তা আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকী ও ইমরুল কায়েস উভয়েই ছাত্র জীবনে ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা।স্বৈরাচারির দোষর এই কর্মকর্তাকে বদলি করতে আড়াই মাস লাগালো অন্তর্বর্তী সরকার। এরপরেও এই বদলিতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন গত ১৫ বছর ধরে নিপীড়নের শিকার কর্মকর্তারা।