একাদশ সংসদে তিনি পা রাখেন ‘একাদশে বৃহস্পতি’ হয়ে। এমপি সাহারা খাতুন মারা গেলে শূন্যস্থান পূরণ করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিব হাসান। তিন বছরের জন্য ক্ষমতা পেয়ে ঢাকা-১৮ আসনের নির্বাচনী এলাকায় যা খুশি তাই-ই করেন। ৩৬ মাস ছিলেন এমপি। এর মধ্যেই নিজের ‘জাত’ চিনিয়ে গেছেন। এলাকার স্কুল-কলেজের ওপর ছিল তাঁর শকুনি চোখ! সরকারিসহ আমজনতার জমি দখল, মার্কেট নিয়ন্ত্রণ, এমনকি নিজ দলের নেতাকর্মীর ওপর হামলায় ছিলেন বেশ দক্ষ! ভুয়া মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে ‘সুখ’ খুঁজে পেতেন। হাবিব হাসান এতটাই ভয়ংকর– এখনও প্রকাশ্যে তাঁকে নিয়ে মুখ খুলতে সাহস পান না অনেকেই।
নানা ফন্দি-ফিকির করে তিনি কামিয়েছেন কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। অবৈধ কামাইয়ের টাকায় কানাডার বেগমপাড়ায় ছেলের নামে কেনেন বিলাসবহুল বাড়ি। গত ২২ সেপ্টেম্বর যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে হাবিবের ছেলে আবির হাসান তানিমকে উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় ১ কোটি ১৬ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন দেশের বিপুল সংখ্যক মুদ্রা ও অস্ত্র-গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। এসব অস্ত্র বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমাতে আন্দোলনকারীর ওপর হাবিব হাসানের অনুসারীরা ব্যবহার করে বলে অভিযোগ রয়েছে।
গত ৫ আগস্টের পর সাবেক এমপি হাবিব হাসানসহ তাঁর সব স্বজন পলাতক।