বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অনিয়ম ও লুটপাটের চরম অভিযোগ!

বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। তিনি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নগরীর বিভিন্ন খাতে অবৈধভাবে অর্থ আদায়, সরকারি সম্পদ আত্মসাৎ, এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।

🏛️ ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ নিয়োগ

সাদিক আবদুল্লাহ মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন দপ্তরে ৫০০ জনেরও বেশি লোককে অবৈধভাবে নিয়োগ দেন। এছাড়া, ১৩৯ জন কর্মচারীকে রাজনৈতিক কারণে বরখাস্ত করেন। এমনকি, তার অনুগতদের বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে পদায়ন করে সেখানেও তার প্রভাব বিস্তার করেন।

💰 অর্থ আত্মসাৎ ও অবৈধ আদায়

মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে সাদিক আবদুল্লাহ বিভিন্ন নির্মাণ প্রকল্পে কমিশন হিসেবে ফ্ল্যাট বা ফ্লোর দাবি করতেন। নির্মাণকাজ না পেলে সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে কাজ বন্ধ করে দিতেন। নিজের মামার নির্মাণাধীন ভবনেও অংশীদারত্ব দাবি করেছিলেন। রাজি না হওয়ায় সিটি করপোরেশন দিয়ে ভবনের চারপাশ ভেঙে দেন।

🏞️ সরকারি জমি ও সম্পত্তির অবৈধ ব্যবহার

আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও সাদিক আবদুল্লাহ বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক লাগোয়া জমি দখল করে নিজের মায়ের নামে পার্ক নির্মাণ করেন। এতে স্থানীয় বাসিন্দার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।

📜 রাজনৈতিক প্রভাব ও ক্ষমতার অপব্যবহার

সাদিক আবদুল্লাহ আওয়ামী লীগের নগর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নগরীর বিভিন্ন হাটবাজার, লঞ্চঘাট ও খেয়াঘাট নিয়ন্ত্রণ করতেন। তার অনুগতরা চাঁদাবাজি করে অর্থ আদায় করতেন। যদি কেউ তার নির্দেশনা অনুযায়ী না চলতেন, তাহলে সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে তাদের হয়রানি করা হতো।

এছাড়া, সাদিক আবদুল্লাহ বরিশাল ক্লাবের সভাপতি পদে নির্বাচনের মাধ্যমে নয়, বরং নিয়মবহির্ভূতভাবে ২০১৯ সালের মার্চে ওই পদ দখল করেন। এতে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।

📉 বর্তমান পরিস্থিতি

সাদিক আবদুল্লাহ মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বরিশালে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ক্ষমতা হারানোর পর তার বিরুদ্ধে বরিশালবাসী দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বর্তমানে তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

Search