লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ ফয়জুর রহমান কমা ২৩ তম লং কোর্স । তিনি একজন মুখোশধারি বিশ্বাসঘাতক । আর্মি সিকিউরিটি ইউনিটের কমান্ডেন্ট থাকাকালীন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ বিরোধী মনোভাব পোষণকারী অনেক অফিসারের ক্ষতি করেন । প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল শফিউদ্দিনের খুব আস্থাভাজন হওয়ায় অনেকের আপত্তি সত্ত্বেও তিনি মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি লাভ করেন । স্টাফ কলেজের কমান্ডেন্ট হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর তিনি ও তার পরিবার স্বেচ্ছাচারিতার সর্বোচ্চ নিদর্শন তৈরি করেন । অত্যন্ত দাম্ভিক ও উচ্চবিলাসী এই কর্মকর্তা শুধুমাত্র তার স্ত্রী কন্যার ইচ্ছা অনুযায়ী অসংখ্য অফিসারের ক্ষতি করেছেন। তিনি নিজ অহমিকা প্রতিষ্ঠার জন্য বিভিন্ন দেশের ছাত্র অফিসারদের বিভিন্ন নিয়মের অজুহাতে নানা রকম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলেন যার ফলে সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের দূতাবাসকে প্রায়শই হস্তক্ষেপ করতে হয়। স্টাফ কলেজে ছাত্র অফিসারদের ভাষ্য অনুযায়ী তৎকালীন স্টাফ কলেজ কমান্ডেন্ট মেজর জেনারেল ফয়জুর তার উচ্চারিত প্রতিটি বাক্যে “ফাদার অফ নেশন” ব্যবহার করতেন। তার প্রতিটি বক্তব্যে , কর্মকান্ডে ,আচরণে প্রকাশ্যে এবং নির্লজ্জভাবে স্বৈরাচার হাসিনার তোষামদি করতেন । ২০২৩ সালে তিনি রাষ্ট্রপতিকে শেখ মুজিবুর রহমানের বাণী সম্বলিত অত্যন্ত ব্যয়বহুল উপহার প্রদান করেন। এছাড়াও ৭ মার্চ ২০২৩ সালে তিনি বিদেশি ছাত্র অফিসারদের জন্য সাবটাইটেল যুক্ত শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণের প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করেন ।
৫ আগস্ট ২০২৪ এ ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর মুহূর্তেই তিনি তার ভোল পাল্টান এবং নিজের ফেসবুক প্রোফাইল লাল করেন । ৬ আগস্ট তাকে ডিজিএফআই এর মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় যেখানে তিনি আনুমানিক তিন মাস কর্মরত ছিলেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি ডিজিএফআই এর সকল স্থাপনায় স্থাপিত সকল আয়না ঘরের প্রমাণ সমূলে বিনষ্ট করেন । এমন কি জাতীয় গুম কমিশনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ডিজিএফআই এর সকল আয়না ঘরে কথিত সংস্কারের মাধ্যমে আমল পরিবর্তন করেন । যার ফলশ্রুতিতে জাতীয় গুম কমিশন আয়না ঘর পরিদর্শনকালে কোন প্রমাণ খুঁজে পান নাই এবং তারা এ বিষয়ে খুব ক্ষোভ প্রকাশ করে। পুরস্কার স্বরূপ এই অফিসার কে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে সেনা সদরে কিউএমজি হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়। তিনি বর্তমানে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড , গুম, আয়না ঘর ইত্যাদির মতো অপরাধের সাথে জড়িত ডিজিএফআই কর্মকর্তাদের রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন। এই মুখোশধারী বিশ্বাসঘাতক পরবর্তী সেনাপ্রধান হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। একজন কট্টর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সমর্থক এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোর বিরোধী। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ অনুগত বিশ্বাসঘাতকদের পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে এখনো তিনি স্বপদে বহাল রয়েছে।