লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ শাহিনুল হক -২০ তম লং কোর্স । তিনি স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের একজন বিশ্বস্ত ব্যক্তি হিসেবে তার আনুগত্য প্রমাণ করতে সক্ষম হন । যার পুরস্কার স্বরূপ ডিসেম্বর ২০২০ সালে তিনি নবম পদাতিক ডিভিশন সাভারের জিওসি হিসাবে নিযুক্ত হন । পরে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় , ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার তাকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে সিজিএস হিসাবে নিযুক্ত করে । সেই সময় থেকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল শাহিনুর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেন ।৫ আগস্ট ২০২৪ এ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সেই রাতেই লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ শাহিনুর হক , লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুজিবুর রহমান , কুখ্যাত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরান হামিদ সেনাবাহিনীর মধ্যে অভ্যুত্থান ঘটানোর ব্যর্থ চেষ্টা করেন। যার ফলে ৬ আগস্ট ২০২৪ এ উল্লিখিত কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সংস্থায় বদলি করা হয় এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল শাহিনুলকে এনডিসি তে বদলি করা হয় । তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময়ের জন্য সিজিএস পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন- এক মাসের ও কম। নভেম্বর ২০২৪ এ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের নিপীড়নমূলক শাসনের অধীনে গত ১৫ বছর ধরে পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তাদের পদোন্নতির জন্য একটি তালিকা প্রস্তুত করতে তাকে একটি বিশেষ বোর্ডের সভাপতি করা হয়। জানা যায় যে ,এই বোর্ডের অন্যান্য সদস্যদের সুপারিশ সত্ত্বেও লেফটেন্যান্ট জেনারেল শাহিনুল একতরফাভাবে সেই সমস্ত কর্মকর্তাদের নাম বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন যারা গত ১৫ বছরে পতিত স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের ন্যূনতম বিরোধিতা করেছেন । উপরন্তু বিএনপি সরকারের আমলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের নাম এবং যাদের পরিবারের সদস্যরা স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সাথে জড়িত তাদের নামও ‘অসুপারিশকৃত’ হিসেবে বাদ দেন। একজন কট্টর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সমর্থক এবং বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের ঘোর বিরোধী । স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের অনুগত বিশ্বাসঘাতকদের পুনর্বাসনের অংশ হিসেবে এখনো তিনি সেনাবাহিনীতে বহাল রয়েছেন।